শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়

 

সৌন্দর্য ধরে রাখতে মানুষ কতই কিনা করে। শীতকালে আমাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। যার ফলে আমাদের শীতকালে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলি। আর এই শীতে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকরণ রয়েছে যা ব্যবহারের করার ফলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। 

শীতে-ত্বকের-উজ্জ্বলতা-বৃদ্ধির-উপায়

শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় জেনে আমাদের ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত। আপনি কি শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় জানতে চান,  তাহলে আজকের আর্টিকেলটি  জন্য। চলুন জেনে নেয়া যাক শীতে ত্বকেরউজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়। 

পেজ সূচিপত্রঃ  শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় 

শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় 

ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখা নিয়মিত মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন বিশেষ করে গোসলের পরে। 

গ্লিসারিন কিংবা ময়েশ্চারাইজার শিয়া বাটার সমৃদ্ধ মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন । 

  • জলপান বৃদ্ধি করুন :ত্বক হাইড্রেট রাখতে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করুন। 
  • শীতকালে গরম চা বা হারবাল পানি ও সহায়ক হতে পারে। 
  • সানস্ক্রিম ব্যবহার: শীতকালেও সূর্যের ক্ষতিকার রোশনি থেকে ত্বককে রক্ষার জন্য SPF 30+সানস্ক্রিম ব্যবহার করুন। 
  • প্রাকৃতিক উপাদান :ব্যবহার করুন মধু দুধ বা টক দিয়ে ফেস প্যাক তৈরি করুন,।এটি ত্বক নরম এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্বি করবে। 
  • নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল: তেল দিয়ে হালকা মেসেজ করুন যাতে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। 

  • প্রাকৃতিক স্ক্রাব ব্যবহার করুন : চিনি এবং মধু মিশে হালকা স্ক্রাব করুন। মুখমণ্ডলে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এটি এক থেকে দুইবার লাগালে কত বৃদ্ধি পাবে। 
  • ডেড স্কিল তৈরি করতে ত্বক মিশ্রণ করে মাঝেমধ্যে কলার খোসা কমলার খোসা হলুদ মধু নিম পাতা দুধের সর এলোভেরা ইত্যাদি দিয়ে ফেসপ্যাক লাগিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি তৈরি করতে পারেন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম : তবে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত প্রচুর পরিমাণে ঘুমের প্রয়োজন। কেননা সাথে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত না করলে ত্বকের শুষ্ক হয়ে রুক্ষ হয়ে থাকে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। 
  • প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন। এটি ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। 
  • নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন: ত্বকের সারা দিনের ময়লা দূর করতে মিদু ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। 
  • ত্বকের ময়লা দূর করতে অনেকই শীতের সময় বেশি গরম পানি মুখ ধোয়া থেকে এড়িয়ে চলুন শুষ্ক করে ফেলে। 

এইসব অভ্যাস নিয়মিত পালন করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। 

শীতের যত্নে ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো

শীতের যত্নে ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো, এটা নিয়ে আমরা অনেকেই জিজ্ঞাসা করে থাকে । কেননা শীতের সময় আমাদের ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে থাকে। শীতকালের ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার এবং হাইডেটিং ক্রিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু জনপ্রিয় এবং কার্যকর ক্রিমের নাম দেওয়া হল :

  • নিভিয়া : এটি ত্বকের গভীরে গিয়ে ত্বককে ময়েশ্চারাইজার করে এবং শীতকালে ত্বক নরম রাখে।
  • পন্ডস কোল্ড ক্রিম : এটি ত্বকের রুক্ষতা ও শুষ্কতা দূর করতে খুবই কার্যকরী পন্ডস কোল্ড ক্রিম ত্বককে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে ত্বককে করে ও মসৃণ। 
  • হিমালিয়ান নারিস ক্রিম: এটি ভেষজ উদ্ভিদের তৈরি করে যা ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। 
শীতের-যত্নে-ত্বকের-জন্য-কোন-ক্রিম-ভালো

  • ল্যাকমে পিচ মিল্ক মশ্চারাইজার : এটি ব্যবহার করার ফলে আমাদের হালকা স্ট্রাকচার করে, শীতে জন্য ত্বক হাইডেটেড ও উজ্জ্বলতা রাখে। 
  • সেটাফিল ময়েশ্চারাইজার ক্রিম: সংবেদনশীলে গভিরে ত্বককে  গভীরভাবে হাইড্রেট করে।  
  • সিরাম : আমাদের ত্বকে সৌন্দর্য ও বৃদ্ধির জন্য সিরাম অত্যন্ত কার্যকরী। শীতের জন্য আমাদের বিভিন্ন ধরনের সিরাম রয়েছে। যার মধ্যে কোলাজের শ্রীরাম গুলো অন্য দেব। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি আপনার ত্বকে সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। 
  • ভেসলিন: শীতকালে ত্বকের যত্নে বিশেষ ভাবে ভেসলিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভেসলিন ক্রিম ভেসলিন মশ্চারাইজার ভ্যাসলিন লোশন ইত্যাদি রয়েছে যা আপনার ত্বকের কোমলতা করতে সাহায্য করে। 

আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী এই ক্রিমগুলোর মধ্যে আপনি নিতে পারেন। 

শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় 

শীতের ত শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায় এই সময় বিশেষ করে আমাদের ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরী নিজে কিছু ঘরোয়া উপায়ে  দেওয়া হলে যা আপনার ত্বকে ও ময়শ্চেরাইজার কোমল রাখতে হবে। 

  • মধু ব্যবহার করুন: মধু প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার  ব্যাকটেরিয়াল। প্রতিদিন মধু ও অ্যালোভেরা মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন নরম থাকবে। 
  • নারিকেল তেল: নারিকেল তেল ত্বকে শুষ্কতা দূর করতে দারুন কাজ করে। গোসলের পর রাত্রে ঘুমানোর আগে আপনি ত্বকে হালকা গরম নারিকেল তেল মেসেজ করতে পারেন এতে ত্বক আপনার মশ্চারাইজার হয়ে থাকবে।
  • দুধ ও মধুর মিশ্রণ:আপনি ২ টেবিল চামচ দুধের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশে প্যাক তৈরি করুন। এটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন দেখবেন আপনার তো অনেক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে ও মশ্চারাইজার করবে। 
  • অলিভ অয়েল : অলিভ অয়েল ত্বকের ধরে রাখতে সাহায্য করে। আপনি প্রতিদিন নিয়মিত অলিভ অয়েল তোকে হালকা মাসাজ করুন দেখবেন আপনার তো অনেক মশ্চারাইজার ও মসৃণ হয়ে থাকবে। 
  • শসা রস :শসার রস ত্বক ঠান্ডা রাখে এবং আদ্রতা যোগায়। শসা কেটে রস বের করে ত্বকে লাগে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। 
  • দই এবং বেসনের প্যাক : দই এবং বেসন মিশে প্যাক তৈরি ত্বকে লাগান। এটি এ এর উজ্জ্বলতা ও কোমল ধরে রাখতে সাহায্য করে।  ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে প্যাকটি ধুয়ে ফেলুন। 
  • গ্লিসারিন বা গোলাপজল : আমাদের ত্বকের যত্নের গ্লিসারিম এবং গোলাপ জল একত্রে মিশিয়ে প্রতিদিন তোকে লাগান। এটি ত্বকে শুষ্কতা দূর করে কোমলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। 
  • গরম পানি পরিবর্তে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন:অতিরিক্ত গরম পানির ত্বকের আদ্রতা কমিয়ে ফেলে তাই কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন।সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন হালকা কুসুম গরম পানির ভাব নিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় গুলো অনুসরণ করলে আপনার শীতের ত্বক কোমল ও মোশ্চারাইজার করে আপনার ত্বক কে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।  

শীতেকালে ফাটা ত্বকের যত্নে 

শীতেকালে ফাটা ত্বকের যত্নে নেওয়া সকলেই উচিত। শীতকালে ত্বক ফাটা কারণ হলো ও পর্যন্ত আদ্রতা অভাব। এই সময় ত্বক মশ্চারাইজ করার জন্য মধু গ্লিসারিন এবং নারিকেল তেল ব্যবহার করা সবচেয়ে কার্যকর। ত্বকে হালকা গরম তেল ম্যাসাজ করলে তা আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং ফাটা তোকে ধীরে ধীরে মসৃণ করে। 

আরো পড়ুনঃ  সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায় 

বসলে পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে ওকে মশ্চারাইজার বা ক্রিম লাগানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গরম পানির পরিবর্তে কুসুম পানি ব্যবহার করলে ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় থাকে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পর্যাপ্ত ঘুম, পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার খেলে ভেতর থেকে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বা বাজারে বিভিন্ন প্রোডাক্ট রয়েছে যা আপনার ত্বকে ফাটা দূর করতে সাহায্য করবে। 

শীতে ত্বকের যত্নে কি মাখা উচিত 

শীতে ত্বকে শুষ্ক ও রুক্ষতা দূর করতে মধু দুধ ও মধুর মিশ্রণ, খুবই উপকারী। মধু ত্বক মশ্চারাইজার করে ত্বককে শুষ্কতা কমিয়ে কোমলতা বজায় রাখে। এছাড়া গ্লিসারিন এবং গোলাপজল মিশ্রণ উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে  ও আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। 

তেল জাতীয় পন্য যেমন নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল তেল  ত্বকের গভীরে আদ্রতা যোগায়। রাত্রে ঘুমানোর আগে একটু গরম তেল ত্বকে মেসেজ করুন, যা আপনার ত্বককে শীতের সময় নরম ও মৃশণ করে উজ্জ্বলতা বজায় রাখে।এছাড়াও শসার রস বা দই এর প্যাক ব্যবহার করেও তোকে কমল সচেজ রাখা যায়। 

কোন ভিটামিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় 

কোন ভিটামিনের অভাবে ত্বক সুস্থ হয়ে যায়, এটা আমরা কেউ বলতে পারে না। তবে ডাক্তারা আমাদের ত্বকের ধরন দেখে  তারা বলতে পারে। ত্বকে শুষ্কতা অনেক সময় ভিটামিন এ এবং ই এর অভাবে হয়। ত্বকের শুষ্ক হয়ে যাওয়ার পেছনে বেশ কিছু ভিটামিন অভাব দায়ী প্রধানত 

  • ভিটামিন এ: ভিটামিন এ ত্বকের এর পূর্ণ গঠন ও আদ্রতা বজায় রাখে। এর অভাবে ত্বক শুস্ক, রুক্ষ ও ফাটা হতে শুরু করে। 
  • ভিটামিন ই: ভিটামিন ই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার করতে সাহায্য করে এবং আদ্রতা ধরে রাখে। এর ঘাটতি হলে ও প্রাণহীন হয়ে যায় ত্বক। এককথায় বলা যায় ত্বকের যত্নে ভিটামিন ই এর গুরুত্বপূর্ণ সবচেয়ে বেশি। 
  • ভিটামিন ডি:  ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের ভারসাম্য রক্ষায় ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ। এর অভাবে শুষ্ক ও রুক্ষ হতে পারে।

এই ভিটামিনের অভাব পূরণে জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার এবং সঠিক ত্বকের যত্নে নেওয়া প্রয়োজন। 

শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার খাবার 

শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার খাবার খাওয়া  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শীতের জনতা ধরে রাখতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া নিচে এমন কিছু খাবারে তালিকার দেওয়া হল যা ত্বককে উজ্জ্বলতা রাখতে সহায়ক :

  • ফলমূল :কমলা লেবু এবং আমলকি ভিটামিন সি টক উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। পেঁপে এবং আপেল এন টি অক্সিডেন্ট ভরপুর যা ত্বকে সচেত রাখে। 
  • শাকসবজি: গাজর ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে। বিটরুট বোধন করে প্রাকৃত কাজলতা নিয়ে আসতে সাহায্য করে। 
  • বাদামও বীজ : আলমন্ড এবং আখরোট ভিটামিন ই এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি, অ্যাসিড সারবাহ করে যা ত্বক নরম ও উজ্জ্বলতা রাখে।  চিয়া সিড এবং ফ্যাক্স সিড ত্বকে আদ্র ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। 
  • দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার  খাবার :দুধ দই এবং পানির প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম ভর পূজা আপনার ত্বকে টানটান সাহায্য করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতার ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। পানি হওয়া হারবাল চা পর্যাপ্ত পানি পান এবং গ্রিন টি খাওয়া শরীর থেকে টক্সিন বের করে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা। 

শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় এর মধ্যে শীতে এই খাবারগুলো ত্বক ভিতর থেকে পুষ্টি পাবে এবং প্রাকৃতিকভাবে ধরে রাখবে। 

শীতে রুক্ষতা দূর করার উপায়

শীতকালে ত্বকের রূপকতা দূর করতে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল নিয়মিত মসশ্চারাইজার ব্যবহার করা। প্রতিদিন গোসলের পর এবং সবার আগে ত্বকে মশ্চারাইজার লাগালে ত্বক দীর্ঘ সময় গরম পানি দিয়ে গোসল না করে, কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। কারণ গরম পানির ত্বকের প্রাকৃতিক তেল শুষে নেয়। দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরী এটি ত্বককে হাইডেড রাখে। পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।   

ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে পারেন যেমন: মধু বা এলোভেরা জেল। সপ্তাহে একদিন মধু ও দই এর প্যাক ত্বকে লাগালে মিশ্রণতা  ফিরে আসে। ঠোঁট ফাটলে পেট্রোলিয়াম জেলি বা নারিকেল তেল ব্যবহার করুন। রুক্ষ চুলের জন্য নিয়মিত তেল মাস সার্চ করে শ্যাম্পু করুন। শীতকালে পরিবেশে সুস্থতা থেকে ত্বক রক্ষা ঘরে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা উপকারী। 

শীতে ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজনীয়তা

শীতে ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কেননা শীতের সময়  ত্বক ও রুক্ষ হয়ে যায়। কারণ ঠান্ডা আবহাওয়া ও কম  আদ্রতা শুষে নেয়। ময়শ্চারাইজার ত্বককে  হাইড্রেটড  রাখতে সাহায্য করে। এবং শুষ্কতার কারনে সৃষ্ট  চুলকানি ও লালচে ভাব দূর করতে সাহায্য করে। একটি ত্বকের সুরক্ষা স্তরের শক্তিশালী করে এবং ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করে। মশ্চারাইজার ত্বকের প্রাকৃতিক কোমলতা ও মসৃণতা বজায় রাখে। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে সুস্থ ও দেখায়। 

শীতে-ময়েশ্চারাইজারের-প্রয়োজনীয়তা

সঠিক ময়েশ্চারাইজার বেছে নেওয়া শীতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শুষ্ক ত্বকের জন্য ঘন ও পুষ্টিকর ময়শ্চেরাইজার এবং তেলতেলে ত্বকের জন্য হালকা ও নন-কমেটোজেনিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। রাতে ঘুমানোর আগে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে এটি তাদের গভীর ভাবে কাজ করে। হালকা কুসুম পানিতে গোসলের পর ময়েশ্চারাইজার লাগালে ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখে। শীতে ত্বকের যত্ন ময়েশ্চারাইজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার কৌশল  

শীতের ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে চাইলে অনুসরণ করা প্রয়োজন। 

  • নিয়মিত মায়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন: শীতে ত্বকে শুষ্ক হয়ে যায়, তাই প্রতিদিন গোসলের পর  মায়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। 
  • প্রচুর পানি পান করুন: শরীর হার্টের রাখলে টক ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। 
  • সানস্ক্রিম ব্যবহার করুন শীতের হালকা রোদে ও ক্ষতিকর ওসি ক্ষতি করতে পারে তাই সানস্ক্রিম অপরিহার্য। 
  • নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন : আপনি নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন যাতে আপনার শরীর ফিট থাকে এবং এক্সেসাইজ করার ফলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। 
  • নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন : শীতের ফল ও সবজি খেলে পুষ্টি পাওয়া যায়। 

এছাড়া ঠান্ডা বাতাস স্ক্রাব বা কে ব্যবহার করুন এবং কুসুম পানিতে গোসল করুন। শীতে টক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী ।

উপসংহারঃ শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় 

শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম। শীতকালে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে প্রয়োজন যত্ন ও নিয়মিত পরিচর্চা। ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। প্রাকৃতিক উপাদান যেমন মধু অ্যালোভেরা এবং দই ত্বকের পুষ্টি যোগায় ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। শীতের শুষ্ক  আবহাওয়া ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে সানস্ক্রিন ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। 

সপ্তাহে একবার মৃদু স্ক্রাব ব্যবহার  করলে আপনার ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল না করে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করাই ভালো। সঠিক যত্নের পাশাপাশি মানসিক প্রশান্তির জন্য উপযুক্ত ঘুমের প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমান নিয়মিত ঘুম হলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সহয়ক। আপনি যদি নিয়ম মেনে পরিচর্যা করলে শীতকালে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা ও স্বাস্থ্যকর রাখা সম্ভব।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Trisha
    Trisha ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ এ ৯:০৪ AM

    অনেক উপকার পেয়েছি আপু

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টু ডে টিপস ব্লগে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url