মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে-মালয়েশিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে এবং মালয়েশিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি,তা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন থাকে। আমার নিজের অভিভাবতা থেকে বলতে পারেন মালয়েশিয়া সতী এক অসাধারণ জায়গা, বিশেষ করে তাদের জন্য। আমি নিজে মালয়েশিয়া গিয়ে কাজ করছি এবং সেই অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের সঙ্গে আমার গল্প প্রয়োজনীয় তথ্য শেয়ার করব।
অনেক আগে থেকে মালয়েশিয়া সম্পর্কে শুনেছি এই দেশটির আধুনিক অবকাঠামো সাংস্কৃতিক ও প্রকৃতির জন্য পরিচিত। কিন্তু সত্যি বলতে মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে নিজেরও কিছু বিভ্রান্তি ছিল। মালেশিয়া গিয়ে সেখানে কি কাজ করবো, কোন কিছু জানতাম না। আমি নিজে মালেশিয়া কিভাবে গেলাম, কত টাকা লাগে, মালেশিয়া কোন কাজ ভালো, সে সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি পড়ুন।
পেজ সূচিপএঃ মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে-মালয়েশিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
- মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪
- মালয়েশিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
- মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কত টাকা ২০২৪
- মালয়েশিয়া শ্রমিক বেতন কত
- মালয়েশিয়া যেতে কত বয়স লাগে ২০২৪
- মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত
- মালয়েশিয়া রেস্টুরেন্টে কাজ করার সুযোগ
- মালয়েশিয়া কেনো কর্মক্ষেত্রে ভালো
- শেষকথাঃ মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে-মালয়েশিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪
মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগবে সেটা, আমিও প্রথমে জানতাম না। কিন্তু নিজের মালয়েশিয়ায় যাওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, খরচের বড় অংশ জুড়ে বড় রয়েছে বিমান ভাড়া, ভিসা ফ্রি এবং প্রথম মাসের খরচ। মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে সেটা নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের উপর। যেমন-আপনার ভ্রমণের ধরন কাজের উদ্দেশ্য এবং আপনি কোন সেক্টরে কাজ করতে চান। সাধারণত বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার খরচের মধ্যে প্রধানত বিমান ভাড়া ভিসা ফি এবং কিছু আনুষঙ্গিক খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে।
- বিমান ভাড়াঃ লোর কস্ট এয়ারলাইন্স : ( এয়ার এশিয়া,মালিন্দ এয়ার) একমুখী টিকিট ১৫০০০-২৫০০০ টাকা।
- প্রিমিয়ান এয়ারলাইন্স : মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স বা,সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে ৩০,০০০-৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
- আমার ক্ষেত্রে বিমান ভাড়া পড়েছিল প্রায় ২০,০০০ (বিশ হাজার) টাকা। কারণ আমি এয়ার এশিয়ার একটি ডিসকাউন্ট ফ্লাইট বেছে নিয়েছিলাম।
- ভিসা ফ্রী অন্যান্য খরচঃ মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে তার বড় অংশ জুড়ে আছে ভিসা ফি। বর্তমান মালয়েশিয়া ওয়ার্ক ভিসার জন্য ৭,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা লাগে।এছাড়া এজেন্ট প্রিমে মেডিকেল টেস্ট ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ হলে মোট খরচ হতে পারে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।
- আবাসন ও খাবারের খরচঃ মালয়েশিয়ায় গিয়ে প্রথম কয়েক মাস আবাসন এবং খাবারে খরচের জন্য ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ধরে বাজেট রাখতে হবে। আমি প্রথম একটা শেয়ার্ড অ্যাপার্টমেন্ট উঠেছিলাম, সেখানে প্রতি মাসে ১২০০০ থেকে ১৫,০০০ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হতো।
আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে সেটা, সেটা নির্ভর করে আপনি কিভাবে পরিকল্পনা করবেন, কোন কাজে যাবে সেটার উপর, তবে সঠিকভাবে বাজেট করলে মালয়েশিয়া যাওয়াটা বেশি সাশ্রয়ী হতে পারে।
মালয়েশিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
মালয়েশিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি, অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, বাইরে গিয়ে কোন কাজ পাবো,কোন কাজে চাহিদা ও বেতন কত , ভালো না খারাপ, আপনার মতো আমার ও এই রকম প্রশ্ন জাগতো।মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে তা জানার পাশাপাশি মালয়েশিয়া কোন কাজে চাহিদা বেশি এটাও জানা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সঠিক কাজ নির্বাচন করলে আপনি দ্রুত ভালো আয়ের সুযোগ পাবেন। নিজে কয়েকটি কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো দেয়া হলো।
- নির্মাণ শিল্প
- রেস্টুরেন্ট ও হসপিটালিটি
- ম্যানুফ্যাকচারিং ও ফ্যাক্টরিং
- গাড়ি চালক ও লজিস্টিকস
- কৃষি খাত।
আমি যখন মালয়েশিয়া গিয়েছিলাম তখন নিজেই দেখেছি যে নির্মার কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বিল্ডিং ব্রিজ এবং রোড নির্মাণের জন্য প্রতিদিনই প্রচুর পরিমাণে শ্রমিক প্রয়োজন হয়। আমার অনেক বাংলাদেশী বন্ধু এই সেক্টরে কাজ করতে দেখেছি আর তাদের আয় অনেক ভালো মানের পেয়ে থাকে। এছাড়াও রেস্টুরেন্ট এবং হসপিটাল প্রচুর চাহিদা রয়েছে ওয়েটার কুক এবং ক্লিনিং স্টাফ হিসাবে।
এছাড়া মেনুফ্যাকচারিং ও ফ্যাক্টরি সেক্টরে যেমন ইলেকট্রনিক্স এবং গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে বাংলাদেশের জন্য কাজের সুযোগ বেশি। আমি দেখেছি এবং রাবার প্লান্টেশনে কৃষি কাজের জন্য অনেক কর্মী প্রয়োজন হয়। মালয়েশিয়ার যেখানেই যায় না কেন এই সেক্টরগুলোতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের অবদান সত্যি চোখে পড়ে। এবং তারা ভাল মানের একটা বেতন পেয়ে থাকে।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কত টাকা ২০২৪
মালয়েশিয়া শ্রমিক বেতন কত
মালয়েশিয়া শ্রমিক বেতন কতো, মালয়েশিয়ার যারা কাজের জন্য তাদের জানা খুবই জরুরি। প্রবাসীরা যারা আাসতে চায় তাদের মালয়েশিয়া বেতন কতো, কোন কাজ করবেন, সব ধরনের বিষয় জানতে আর্টিকেল পড়তে থাকুন। আমার মামাতো ভাই মালয়েশিয়ার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো বেতন ছিল প্রায় ১২০০ থেকে ১৫০০ রিঙ্গিত।যা বাংলাদেশী টাকা ৩০ হাজার থেকে ৩৭ হাজার পর্যন্ত। শ্রমিকের বেতন নির্ভর করে তাদের কাজের ধরন এবং অভার টাইম এর ওপর নির্ভর করে। আমি শুনেছি নির্মাণ শিল্প রেস্টুরেন্ট এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজের শ্রমিকদের জন্য একটি ভালো আয়র উৎস হিসেবে খুব ভালো বেতন পেয়ে থাকে।
মালয়েশিয়ার শ্রমিকদের বেতন সাধারণত নূন্যতম১১০০ রিঙ্গিত থেকে শুরু হয়। এছাড়াও কাজ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে বাড়তি সুযোগ দেয়। অনেক কোম্পানি গুলা আছে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। যার ফলে বাইরে টাকা খরচ হয় না এইজন্য তার ভালো একটা আয় পেয়ে থাকে। এবং ওভারটাইম করলে তো কথাই নাই এত মোটা অংকের শ্রমিক তার পারিশ্রমিক অর্থ উপার্জন করতে পারে।
মামাতো ভাইয়ের মতো ফ্যাক্টরি ভিসার বেতন বেশি স্থিরশীল। ফ্যাক্টরি কর্মীদের বেতন শুরু হয় প্রায় ১১০০ থেকে ১৪০০ রিঙ্গিত এর মধ্যে। তবে ওভারটাইম করলে এটা ২০০০ রিঙ্গিত বা তার বেশি হয়ে যেতে পারে। ফ্যাক্টরিতে কাজ করার কঠিন হলো নিয়মিত বেতন এবং অনেক জায়গায় থাকা খাওয়ার সুবিধা পাওয়া যায়। মালয়েশিয়া কাজ করতে গেলে এইসব বিষয় বিবেচনা করাই ভালো, যাতে আয় বাড়ানোর সুযোগ থাকে এবং পরিবারকে হাসিখুশি রাখতে পারেন।
মালয়েশিয়া যেতে কত বয়স লাগে ২০২৪
মালয়েশিয়া যেতে কত বয়স লাগে ,যারা মালয়েশিয়া যেতে চান তারা এই প্রশ্ন করে থাকে। যারা পরিবারে হাল ধরার জন্য দায়িত্ব নিতে মালয়েশিয়া অল্প বয়সে পাড়ি দিতে চায়, বা পড়াশোনা করছে সেসব ছাএছাএী তারা এই প্রশ্ন করে থাকে। মালয়েশিয়া যেতে বয়সের একটি নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে,বিশেষ করে রয়েছে কাজ বা ভ্রমণের জন্য। আমি যখন মালয়েশিয়া গিয়েছিলাম তখন আমার বয়স ১৮ ছিল। সাধারণত মালয়েশিয়ায় কাজ করতে চাইলে ন্যূনতম বয়স ১৮ হতে হয়।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন ফেসবুকে কাপড়ের ব্যবসা করার ১০ টি কার্যকরী কৌশল
বয়স কম আবেদন করতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। আমার এক মামাতো ভাই ছিল তার বয়স ১৮ কম হয় তার অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। তবে আমার বয়সে কোন বাধা হয়নি, কারণ আমার ১৮ বছর পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল ভ্রমণের জন্য বৈধভাবে যেতে পেরেছি। তবে আমার মামাতো ভাই যেতে পারেনি তার ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এখনো আবেদন করতে পারিনি। এজন্য তাকে বয়স না হওয়া পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ মঞ্জুর করেনি।
আমি মালয়েশিয়া গিয়ে দেখি যে বিভিন্ন সেক্টরে কাজের জন্য ১৮ থেকে ৪৫ বয়সের লোকদের বেশি নেওয়া হয়। তবে যদি টুরিস্ট ভিসার কথা বলি সেখানে বয়স নিয়ে তেমন কড়াকড়ি নেই শুধু পাসপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ঠিকঠাক থাকলেই হবে। শুধু পাসপোর্ট এবং প্রয়োজন এর ডকুমেন্ট ঠিকঠাক থাকলে আপনি বিভিন্ন যেতে পারেন টুরিস্ট ভিসায় । বয়স ১৮ হলে আপনি সহজে মালয়েশিয়া যেতে পারবেন এবং নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি মালয়েশিয়ার যাওয়ার বয়সসীমা খুবই বাস্তব সম্মত।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কতো, যারা মালয়েশিয়া কাজের জন্য আসতে চাই, তাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ কোন কাজ আাসবেন তার উপর নির্ভর করে। আমি যখন মালয়েশিয়া গিয়েছিলাম তখন আমার ফ্যাক্টরি ভিসার বেতন ছিল মাসিক প্রায় ১২০০ রিঙ্গিত যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩০ হাজার টাকা। তবে ওভারটাইম কাজ করলে আরো আয় বাড়বে। মালয়েশিয়ার ফ্যাক্টরি ভিসার বেতনে সাধারণত ১১০০ থেকে ১৪০০ রিঙ্গিত এর মধ্যে হয়ে থাকে। কাজের ধরন এবং কোম্পানির উপর নির্ভর করে। আমি প্রথম মাস থেকে দেখেছি ওভারটাইমের জন্য প্রতি ঘন্টার আলাদা টাকা দেওয়া হয় মাসিক আয় কে অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।যারা নতুন কর্মী রয়েছে তাদের জন্য এটি সত্যি ভালো একটি আয়ের সুযোগ।
মালয়েশিয়ায় গিয়ে বুঝেছি ফ্যাক্টরি কাজ পরিশ্রমের হল আই মোটামুটি অনেক ভালো। আমার ফ্যাক্টরিতে ইলেকট্রনিক পণ্য তৈরি করা, সেখানে সময়ানুযায়ী বেতন এবং খাবারের সুবিধা ছিল। অনেক ফ্যাক্টরিতে থাকা খাওয়ার খরচ কোম্পানি বহন করে যা আমার ক্ষেত্রেও ছিল। তাই মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলাম এবং আপনি যদি ওভারটাইম করেন তাহলে আরো ভালো আয় করার সুযোগ পাবেন এবং আপনার ফ্যামিলিকে স্বাচ্ছন্দ বোধ রাখতে পারবেন।
মালয়েশিয়া রেস্টুরেন্টে কাজ করার সুযোগ
মালয়েশিয়া আমার চাচাতো ভাই কয়েক বছর আগে মালয়েশিয়া রেস্টুরেন্টে কাজ করার সুযোগ পায়। আর সেখান থেকে তার জীবন পুরোপুরি বদলে যায়, রেস্টুরেন্ট কাজের জন্য মালয়েশিয়ার ওয়েটার খুব এবং ক্লিনিং স্টাফের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমার ভাই প্রথমে ওয়েটার হিসেবে কাজ শুরু করেছিল, সেখানে তার মাসি বেগুন ছিল প্রায় ১২০০ রিঙ্গিত যা বাংলাদেশী টাকায় ৩০,০০০ এর কাছাকাছি। রেস্টুরেন্টে কাজের আরেকটি ভালো দিক হলো, থাকা খাওয়ার এবং ব্যবস্থা রয়েছে। আর রেস্টুরেন্ট কোম্পানির মাধ্যমে হয় সেটা রেস্টুরেন্টে থাকা খাওয়া সম্পূর্ণ ফ্রি দেয়। এছাড়াও কাজটা পরিশ্রমের হলেও ওভারটাইমের জন্য আলাদা বেতন দেয়।
মালয়েশিয়ার রেস্টুরেন্টে কাজের সুযোগ অনেক বিশেষ করে শহরগুলোতে। আমার ভাই যখন কাজ করতো তখন তিনি দ্রুত প্রমোশন পেয়ে কিচেন হেলপার থেকে কুক হেল্পার হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং তার বেতন দ্বিগুণ হয়ে যায়। রেস্টুরেন্ট কাজের অভিজ্ঞতা থাকে শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয় এবং পেশাগত দক্ষতা এগিয়ে দিয়েছে। আমি দেখেছি যারা মালয়েশিয়া রেস্টুরেন্টে কাজ করেন ,তাদের জন্য এটা হলো ভালো আয় করতে পারেতা,এবং ভবিষ্যতে নিজের অবস্থান আরো ভালো করার সুযোগ পান।
মালয়েশিয়া কেনো কর্মক্ষেত্রে ভালো
মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে জানার পাশাপাশি কাজের পরিবেশ সম্পর্কে জানা জরুরী। এবং মালয়েশিয়া কেন কর্মক্ষেত্রে ভালো, অনেকেই জানেনা। মালয়েশিয়া একটি আধুনিক দেশ এখানে শ্রমিকদের প্রতি বৈষম্য নেই এবং আইনত শ্রমিকদের কার সংরক্ষিত। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলি মানুষ মালয়েশিয়া কাজ করতে গিয়ে আমি যেসব সুবিধা পেয়েছি তা হল:
আরো পড়ুনঃ ছাত্র জীবনে টাকা উপার্জন করার ১০ টি কার্যকারী উপায়
- সময়ের বেতনঃ মালয়েশিয়ায় আমি কাজ করার পর আমি প্রতিমাসের সময়ে সঠিক বেতন পেয়ে যেতাম। এবং আমাকে ওভার টাইমে কাজ করল আমাকে ওভারটাইমের টাকায় পরিশোধ করে দিত। সেজন্য আমি আমার পরিবারে সঠিক সময়ে টাকা পাঠাতে পারতাম। যেটা অন্যান্য দেশে করেনা।
- কাজে নিরাপত্তাঃ সরকারি নিয়ম মেনে কাজ করা নিরাপত্তা অনেক বেশি। আমি সরকারি নিয়ম মেনে কাজ করতাম ফলে আমার আমাকে কোম্পানিরা এখানকার লোকেরা বা আইনগতভাবেও আমি অনেক নিরাপত্তা পেয়েছি।
- পেশাগত উন্নতিঃ আমি প্রথমে মালয়েশিয়া গিয়ে কোন কাজ করতে পারতাম না। আমার কোন ধারণা ছিল না কিন্তু সেখানকার কর্মীরা আমাকে তাদের মতো শিখিয়ে পরিয়ে নেয়। এবং আমাকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নতুন দক্ষতা শিখানোর পরে আমাকে একটা ভালো পজিশনে নিয়ে আসছে। যার জন্য আমি একটা ভালো মোটা অংকের পারিশ্রমিক পেয়ে থাকি। অনেক জায়গা প্রশিক্ষণ ও নতুন দক্ষতা শেখার সুযোগ রয়েছে।
শেষকথাঃ মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে-মালয়েশিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে সেটা নির্ভর করে অভিজ্ঞতা মোটামুটি থেকে ১,০০,০০০-১,২০,০০০ হাজার টাকার মত। এর মধ্যে বিমান ভাড়া এবং প্রথম মাসে থাকার খরচ অন্তর্ভুক্ত। আমি যখন মালয়েশিয়া গিয়েছিলাম তখন পুরো পরিকল্পনা ঠিকঠাক করে গিয়েছিলাম বলে খরচ কিছুটা কমে গিয়েছিল। তবে কেউ যদি নিজের ভিসার কাজগুলো ম্যানেজ করে তাহলে এজেন্ট ফি কমে যায় মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে পরিকল্পনা করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কাজের দিক থেকে আমি মালয়েশিয়ায় গিয়ে দেখেছি নির্মাণ শিল্প রেস্টুরেন্ট এবং ফ্যাক্টরি সেক্টরের কাজগুলো চাহিদা অনেক বেশি। নির্মাণ শিল্পে প্রচুর শ্রমিক দরকার হয় আর রেস্টুরেন্ট গুলো ও হসপিটাল গুলোতে নিয়োগ নেয়,যার ফলে এখানে আয়ের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলবা মালয়েশিয়ার কাজের আপনি কিন্তু নিজের দুঃখটা প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করে আপনি কতটা সফল হবেন পরিকল্পনা এবং চেষ্টা থাকলে মালয়েশিয়ার জীবনী ভালো কিছু করার সুযোগ সহজে পাওয়া যায়।
টু ডে টিপস ব্লগে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url