এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কী হতে পারে কিশোরী কন্ঠ
এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কী হতে পারে অনেকেই জানেন না। আপনারা নিশ্চয়ই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তের নাম শুনছেন। এ আই দিয়ে বর্তমান সময়ে মানুষ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় তুলে ফেলছে। কিন্তু এআই কতটা আমাদের জন্য ভালো আর কতটা খারাপ সে সম্পর্কে জানেন কি? জানতে চাইলে মনোযোগ সহকারে আর্টিকেল দিয়ে পড়তে থাকুন।
বর্তমান যুগে এআই দিয়ে মানুষ জীবনযাত্রাকে সহজে দ্রুত ও উন্নত করতে একটি শক্তিশালী হাতের হিসেবে ব্যবহার করছে।এছাড়াএআই দিয়ে সমাজের অর্থনীতিক সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ,এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমালোচনার ঝড় তুলেছে। তবে এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহার করার কারণে আমার ও আমাদের সমাজে কিশোরী কন্ঠদের কি ক্ষতিকর প্রভাব হচ্ছে সেই সেই সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
পেজ সূচিপএঃ এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কী হতে পারে কিশোরী কন্ঠ
- এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কী হতে পারে
- এআই এর সুবিধা এবং কিশোরীদের আকর্ষণ
- কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
- এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের সৃজনশীলতা কমে যাচ্ছে
- এআই এর ব্যবহার করার ফলে শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি
- এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে সামাজিক জীবনের অবহেলা ঘটেছে
- কৃত্রিম সম্পর্ক এবং বাস্তবিক যোগাযোগের অভাব
- এআই নির্ভরতা এবং পেশাগত ঝুঁকি
- এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে সমস্যার সমাধান এবং ইতিবাচক ব্যবহার
- এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে কর্মজীবনে প্রস্তুতির প্রভাব
- শেষ কথাঃ এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কী হতে পারে
এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কী হতে পারে
এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কী হতে পারে ,সেই সম্পর্কে অনেকে জানেন না। আমি প্রতিদিনই ব্যবহার করতে করতে বুঝলাম যে, এই সুবিধা গুলো যেমন অসীম তেমনি এর কিছু সীমাবদ্ধতা আমাদের জীবনের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে। আমি জানিনা,তোমাদের কখনো এমন মনে হয়েছে কিনা আমার জীবনে এই একদম হিরো হয়ে গিয়েছিল। প্রথমে মনে হয়েছিল এই আই আমার সব সমস্যার সমাধান।
হোমওয়ার্ক করা থেকে শুরু করে ,নতুন আইডিয়া খুঁজে বের করা সবকিছুতে আমি এ আই ব্যবহার করতাম। কিন্তু আস্তে আস্তে আমি বুঝতে পারলাম আমার চিন্তা ভাবনা কতটা ক্ষতিকর করেছে, আমার চিন্তা ভাবনার ক্ষমতা যেন দিন দিন হারিয়ে ফেলছিলাম। লেখালেখি গবেষণা এমন ব্যক্তিগত কাজও আমি এআই দ্বারা কাজ করতাম । পরে বুঝতে পেরেছি যে ,নিজের চিন্তার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি।
আমি,সেভাবে আর নিজের মতো করে গুছিয়ে লিখে দিতে পারি না। এআই এর উপর এতটাই নির্ভরশীল হয়ে গিয়েছিলাম যে ,আমার সৃজনশীলতা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছিল। আগে যে সব সমস্যার সমাধান নিজেই করতে পারতাম , আর আমি সব কিছুর জন্য এআই এর সাহায্য নিতে হয়। সবচেয়ে বড় ব্যাপার আমার কাজের প্রতি যে আন্তরিকতা এবং ভালোবাসা ছিল ,তা যেন এখন ম্লান হয়ে গেছে। আগে আমি যেকোনো কাজ নিজে নিজে করার চেষ্টা করতাম।একটা প্রেজেন্টেশনের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা গুগলে ঘাটতাম প্রেজেন্টেশ বানাতাম। কিন্তু এখন?"এআই কে বলি এ বিষয়ের উপরে এইটা লিখে দাও" এআই এর সমাধান করে দাও। এতে হয়তো সময় বাঁচে এটা পুরো মজা শেষ!নিজে কিছু তৈরি করার আনন্দটা আর পাইনা।
আরো পড়ুন : বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?
তবে আমি এটাও বুঝতে পেরেছি যে, এআই হলো একটা যন্ত্র, এটা কখনোও মানুষের মস্তিকের মতো হতে পারে না। এর ব্যবহার করতে গিয়ে যদি আমাদের নিজের ক্ষমতা সৃজনশীলতা ও মেধা হারিয়ে ফেলি। পুরা উদ্দেশ্যে ব্যর্থ ,এখন আমি চেষ্টা করছি, প্রয়োজন ছাড়া এআই ব্যবহার না করা। কারণ নিজের ভাবনা তে যে শেখা যায় ,সেটাই জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা। আপনাদের কেউ যদি আমার মত এআই ব্যবহার করেন তাহলে অনুরোধ করব, এআই কাছ থেকে সাহায্য নিবেন ,কিন্তু নিজের আইডিয়া ও মেধা দিয়ে যেকোনো কাজ করবেন। কিন্তু এআই এর উপরে নির্ভরশীল হবেন না ।
তাই আমি বলব এআই ভালো, কিন্তু সেটা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে ।আমরা কিশোরীরা অনেক কিছু শিখছি । কিন্তু নিজের তৈরি চিন্তা ভাবনা দিয়ে নতুন কিছু আবিস্কার করে । কিন্তু সময়টা যদি আমরা নিজেদের চিন্তা চেতনা এবং চিন্তা ভাবনা হারিয়ে ফেলি, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ কি হবে? তাই নিজের মস্তিষ্কটাকে কাজে লাগানো সবচেয়ে জরুরী। এআই এর হেল্প নিতে পারেন কিন্তু আমাদের সবকিছু এআই উপর ছেড়ে দিলে আমাদের নিজেদেরই ভবিষ্যৎ হারিয়ে ফেলতে পারি।
তোমাদের কারো যদি আমার মত অবস্থা হয় একটু ভেবে দেখো। নিজের মস্তিষ্কে খাটাও এবং তোমার মস্তিস্কটাই হলো আসল সুপার পাওয়ার।
এআইএস সুবিধা এবং কিশোরীদের আকর্ষণ
এআই এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে শিক্ষাক্ষেত্রে, বিনোদন কাজের ক্ষেত্রে, এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। কিশোরীরা পড়াশোনা করছে এআইভিতে চ্যাট বোর্ড থেকে প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছে ভিডিও গেম এআই চরিত্রের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে।
এআই এর কিশোরদের মস্তিষ্কের সহজে জায়গা করে নেয়। তারা এয়ার মাধ্যমে দ্রুত উত্তর গেমিং এক্সপ্লিমেন্ট নতুন বছর প্রযুক্তি সঙ্গে পরিচয় হতে চাই। তবে এই অতিরিক্ত এক সময় সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে। যেমন:
- কিশোরীদের চিন্তা-ভাবনা ক্ষমতা কমে যাচ্ছে
- সামাজিক জীবনের অবক্ষয় ঘটছে
- অস্থিরতার চাপ বেড়ে যাচ্ছে।
- তথ্য ও প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে
- এআই ব্যবহার করে মানুষ দিন দিন তার কর্ম ক্ষমতা মেধা হারিয়ে ফেলছে।
- এআই উপর নির্ভরশীল থাকার কারণে মানুষ অলসতা বেড়ে যাচ্ছে।
- এআই প্রযুক্তি দিয়ে মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে সময় কাটাচ্ছে। যার ফলে সামাজিক এবং পারিবারিক সম্পর্ক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
- এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে,মানুষ তার মস্তিষ্কে এবং চোখের ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতি করছেন।
- কিশোরীরা তাদের মেধাকে দুর্বল করে ফেলছে, তাদের যে নিজের মাথায় আইডিয়াগুলো, সেগুলো তারা প্রয়োগ না করে এআই ব্যবহার করছে।
কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষ কী হতে পারে কিশোরী কন্ঠ বিষয়টি আলোচনার ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এআই নির্ভরতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিশোরীরা বাস্তব জীবনের সামাজিক মেলামেশা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
যদি তারা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বেশি সময় কাটায় জীবনে কম সময় দেয় তাহলে একাকীত্ব হতাশ এবং মানসিক চাপের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া যখন কিশোরীরা এআই ভিত্তিক ফিল্টার বা প্রযুক্তি দিয়ে নিজের জীবনকে চালিত করে তখন তারা বাস্তবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না। যার ফলে আমাদের সমাজে দিন দিন ডিভোর্সের হার বেড়ে যাচ্ছে। এআইকে এতটাই তারা নিজেদের জীবনে প্রাধান্যতা দিয়েছে যে তারা বাস্তবতার সঙ্গে মানে নিতে পারে না।
আরো পড়ুন : অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা
এআই এর উপর অতিরিক্ত নির্ভর হয়ে যাওয়ার কারণে সবকিছু তাড়াতাড়ি এবং নিষেধ করা চাপ অনুভব করি। এটা আমার মানুষের শান্তি কেড়ে নিয়েছে। প্রযুক্তির সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে কখনো সময়ের হিসাব থাকে না ,যার ফলে কাজ জমে যায় এবং আরো বেশি অনুভব হয় ।এভাবে অস্থিরতা আমার জীবনে প্রতিদিনই সঙ্গী হয়ে গেছে। যার ফলে আমার মানসিক চাপ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে এবং ক্ষতিসাধন হচ্ছে। নিজেকে মনে হয় মানসিক রোগী এবং অস্থিরতা বেড়ে যাচ্ছে। আর এসব কিছু এ আই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে কারনে।
এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের সৃজনশীলতা কমে যাচ্ছে
এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের সৃজনশীলতা কমে যাচ্ছে দিন দিন এবং মারাত্মকভাবে ক্ষতি হচ্ছে। কিশোরী বয়সে সৃজনশীল কল্পনার শক্তি বিকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। কিন্তু যখন তারা সহজেই সবকিছু সমাধান এআই এর মাধ্যমে পেয়ে যায় ,তখন তাদের মস্তিষ্কে স্বাভাবিকভাবে চিন্তা-ভাবনা থেকে সরে যাচ্ছে। কিশোরীরা এ বয়সে তাদের নতুন নতুন আইডিয়া দিয়ে তারা তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারবে। কিন্তু তারা এআইকে এতটাই ব্যবহার করে ,তাদের সৃজনশীলতা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
যেমন একটি রচনা বা প্রবন্ধ লেখার জন্য কিশোরীরা যদি পুরোপুরি এআইয়ের উপর নির্ভর করে ,তাহলে তাদের নিজস্ব এবং লেখার দক্ষতা গড়ে উঠতে পারবে না। এ প্রবণতা দীর্ঘ মেয়াদে তাদের সৃজনশীলতাকে নিশ্চিত করে ফেলছে এবং নতুন নতুন আইডিয়া হারিয়ে ফেলছে।
যেমন আমি আগে যে কোন সমস্যার সমাধান নিজে চিন্তাভাবনা ও চেষ্টা করে করতাম। কিন্তু এআই ব্যবহার করার পর থেকে হয় আমার আগের মত মস্তিক আর কাজ করছে না। যে কাজগুলো নিজে করে আনন্দ পেতাম এখন সেগুলো করতে এআইয়ের উপর নির্ভর করি। এতে আ করে আমার চিন্তা করার ক্ষমতা কমে গেছে। আর মস্তিষ্কে সেই তীক্ষ্ণতা যেন হারিয়ে ফেলেছি। ব্যাপারটা এমন হচ্ছে যে এআই অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে মানুষের কি হতে পারে তার জলজ্যান্ত আমি নিজেই প্রমাণ আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি।
এআই এর ব্যবহার করার ফলে শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি
এআই এর ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্কিনের সামনে অতিরিক্ত সময় কাটানোর প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। এতে কিশোরদের দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে শারীরিক অসুস্থতা ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বর্তমান সময়ে কিশোরীরা ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম,টুইটার, tiktok এআই ব্যবহার করে। যার ফলে অধিকাংশ সময় মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটারে ভিডিও এডিটিং করে থাকে। সেজন্যই তাদের স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে।
এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে সামাজিক জীবনের অবহেলা ঘটেছে
এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে সামাজিক জীবনের অবহেলা ঘটেছে, যার ফলে কিশোরীরা ধীরে ধীরে তাদের বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চায়না। তারা বিভিন্ন সময় এবং সোশ্যাল মিডিয়া এয়ার ব্যবহার করে থাকে। এবং পরিবারের সঙ্গে তারা সময় কোনভাবে কাটাতে চায় না। কিশোরেরা তাদের নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তাদের সবকিছু সমাধান করতে পারে কিন্তু তারা এআইয়ের উপর এতটা নির্ভরশীল হয়ে গেছে যে এয়াই তাদের একটা হৃদপিণ্ড মনে করে।
এই চ্যাট বোর্ড ও প্রযুক্তি সঙ্গে সময় কাটানো ফলে তারা আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই না। এছাড়াও কিশোরেরা এআই এর উপর এতটা নির্ভরশীল যে তারা গেম, facebook, twitte, instagram এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে, সকল সামাজিক সম্পর্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করছে। যার ফলে সমাজে বিঘ্নতা ঘটছে। অতিরিক্ত এ আই ব্যবহার করার ফলে আমিও ধীরে ধীরে বন্ধু-বান্ধব হারিয়ে ফেলেছিলাম। পরিবারের সঙ্গে সময় কমিয়ে দিয়েছিলাম। পরিবারকে কোন প্রাধান্যতা দিতাম না মানুষের সঙ্গে সময় কাটানোর আনন্দ কোথায় যেন হারিয়ে গেছে।
আরো পড়ুন : রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার উপায়
কারণ এআই চ্যাট বোর্ড বা প্রযুক্তি সঙ্গে সময় কাটানো কে সহজ মনে করতাম। আনন্দ লাগতো এবং যার ফলে আমি পরিবার এবং সমাজের সাথে সেভাবে সম্পর্ক গুলো আগের মত হতো না। তবে এ আয় আমার জীবনে কতটা ক্ষতিকর হয়েছে ,আমি এখন হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছি। এআই অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কী হতে পারে তা আমি আমার নিজের মধ্যে অনুভব করতে পেরেছি। আজ আপনাদের সামনে আমার জীবনের কাহিনী শেয়ার করলাম।
কৃত্রিম সম্পর্ক এবং বাস্তবিক যোগাযোগের অভাব
এআই ভিত্তিক ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট চ্যাটবোর্ড বা রোবোটিক সঙ্গে আজকের দিনে কিশোরদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। তারা এআই এর সঙ্গে কথা ও কথন করে নিজের সময় কাটাতে পছন্দ করে। কিন্তু এই কৃত্রিম সম্পর্ক বাস্তব জীবনে আত্মসম্পর্ক ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
কিশোর বয়সের সঠিক সামাজিক দক্ষতা এবং আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যখন তারা বাস্তবেক যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এআই নির্ভরতা বাড়িয়ে তোলে তখন ভবিষ্যতে তারা কার্যকর সামাজিক যোগাযোগ এবং সম্পর্ক গড়ে তুলতে সমস্যায় পড়ে।
এআই নির্ভরতা এবং পেশাগত ঝুঁকি
একটি চিন্তার বিষয় হল এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কী হতে পারে কিশোরী কন্ঠ এই প্রশ্নের উত্তর ভবিষ্যৎ কর্ম ক্ষেত্রে পাওয়া যায়। এআই সহজে কাজের সমাধান দিয়ে দেওয়ার কারণে ভবিষ্যতে পরিশ্রম বা সৃজনশীল পদ্ধতিতে কাজ করার ইচ্ছা হারাতে পারে।
যদি কোন কিশোর করতে আগ্রহী না হয় এবং সবকিছু এআই দিয়ে সমাধান করতে চাই, তাহলে তার কর্মজীবনের প্রস্তুতির ব্যাঘাত হতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদে এটি পেশাগত জীবনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। কোন বিষয়ে কিশোরীকে যদি বলা হয় এই প্রেজেন্টেশন তোমাকে করা লাগবে। সেই কিশোরী এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা দ্রুত দিয়ে ফেলছে। কিন্তু সে এআই এর উপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। কিন্তু নিজের বুদ্ধি দিয়ে মেধা দিয়ে চিন্তা ভাবনা দিয়ে সে প্রেজেন্টেশন করে নাই ,তার ফলে সে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারে নাই।
আসলে এআই হলো একটি যন্ত্র, আর মানুষ নিজের বুদ্ধিকে, মেধাকে কাজে লেগে লাগিয়ে যে প্রেজেন্টেশন করবে,সেই প্রেজেন্টেশনের পারফর্মেন্স অত্যন্ত ভালো হবে,যা এআই দ্বারা সম্ভব না। এছাড়াও মানুষ নিজের বুদ্ধিকে, মেধাকে কাজে লেগে লাগিয়ে যে প্রেজেন্টেশন করবে, তার সামনে যত বড় চ্যালেঞ্জিং হোক না কেন, সে তা সমাধান করতে পারবে। কিন্তু যে কিশোরী এআই ব্যবহার করেছে, সে সামনে কোন চ্যালেঞ্জ আসলে, সে তার নিজের মেধা দিয়ে মোকাবেলা করতে পারবে না।
এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে সমস্যার সমাধান এবং ইতিবাচক ব্যবহার
এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে বিভিন্ন দিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। তবে সঠিক দিকনির্দেশনা এবং ভারসাম্য পূর্ণ ব্যবহারে মাধ্যমে এর সমস্যার গুলো সমাধান করা সম্ভব। এআই ব্যবহারে ভারসাম্য আনার মূল চাবিকাঠি। এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারের ব্যাপারে এ প্রশ্নের উত্তর যখন নেতিবাচক হয় তখন তার সমাধান খুঁজে বের কর জরুরী। এআই ব্যবহার সীমিত করতে হবে ,পড়াশোনা বা কাজের সাহায্যে জন্য এটি ব্যবহার করা যেতে পারে ,তবে পুরোপুরি নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয় ।
- সৃজনশীল কার্যকর্মে অংশগ্রহণ কিশোর কিশোরীদের সৃজনশীল কাজে যুক্ত করা যেতে পারে যেমন চিত্রাঙ্গুল লেখালেখি বা গঠনমূলক তর্ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা। অন্যান্য প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিতে হবে।
- সামাজিক মেলামেশার গুরুত্ব বাস্তব জীবনের সম্পর্ক এবং সামাজিক দক্ষতা বিকাশের জন্য পরিবার বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে কাটানোর উৎসাহ দেওয়া উচিত। কিশোরীদের মানসিক এবং সামাজিক দক্ষতা উন্নত জন্য তাদেরকে গুরুত্ব বোঝাতে হবে।
- প্রযুক্তি ব্যবহারের সময় নির্ধারণ স্কিন টাইম কমিয়ে এআই এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরী। এছাড়াও এর ব্যবহারের ভালো এবং মন্দ দিকগুলো সম্পর্কে কিশোরদের সঠিক শিক্ষা দিতে হবে।
এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে কর্মজীবনে প্রস্তুতির প্রভাব
কিশোর বয়সে পরিশ্রমের মাধ্যমে কাজ করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। কিন্তু যদি তারা এআইয়ের উপর অতিরিক্ত মাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়ে ,তাহলে ভবিষ্যতে কর্মজীবনের জন্য, তারা প্রস্তুত হতে পারবে না। এবং তাদের ভবিষ্যতে অন্ধকার হয়ে থাকবে। তাদের মেধাকে এবং মস্তিস্ককে চিন্তা ভাবনা হারিয়ে ফেলবে।
আরো পড়ুনঃ ছাত্র জীবনে টাকা উপার্জন করার ১০ টি কার্যকারী উপায়
উদাহরণস্বরূপ, কোন কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য এআই ব্যবহার করা হলে, সে কাজের প্রয়োজনে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন হয় না ।এটি দীর্ঘ মেয়াদে পেশাগত জীবনের প্রতিবন্ধীকতা তৈরি করতে পারে ,এবং কর্মজীবনে চ্যালেঞ্জিং সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। আর এই সমস্যা সমাধানের জন্য এআই কোন সমাধান দিতে পারবে না। তখন নিজেকেই তার মেধা এবং বুদ্ধিকে ব্যবহার করেই তার চ্যালেঞ্জিং সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। সেজন্যই এআইয়ের উপর নির্ভর না থেকে, নিজের মেধা ও বুদ্ধিকে কাজে লাগানো সবার উচিত।
শেষকথাঃ এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কী হতে পারে
এআই হল আশীর্বাদ এবং অভিশাপ, একটি নির্ভর করে আমরা কিভাবে এটি ব্যবহার করি তার উপর । এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কী হতে পারে কিশোরী কন্ঠ এ বিষয়টি গভীরভাবে বোঝার মাধ্যমে কিশোরীদের সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারি।এআই একটি অসাধারণ প্রযুক্তি যা মানুষের জীবনকে সহজ করে তুলেছে । তবে এর অতিরিক্ত ব্যবহারে কিশোরীদের সৃজনশীলতা এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে ।এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষ কী হতে পারে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আমরা দেখতে পাই যে, সঠিক দিক নির্দেশনা এবং ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে এর ক্ষতিকর প্রভাব এড়ানো সম্ভব।
কিশোরীদের সঠিকভাবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের সবার ।এআই এর সঠিক ব্যবহার এর সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাত্রা নিশ্চিত করে ,আমরা তাদের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারি। প্রযুক্তির এই যুগে আমাদের দায়িত্ব হলো কিশোরীদের শেখানো তারা এআই এর সুবিধা গুলো কাজে লাগাবে তার ক্ষতিকর দিকগুলো এড়িয়ে চলবে সকল বিষয় দিক নির্দেশনা ও ভারসাম্যপূর্ণ কিভাবে করবে নিশ্চিত করা।
টু ডে টিপস ব্লগে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url