চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার ১০ টি কার্যকরী উপায়
চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহারের প্রভাব নিয়ে আমি বেশ কিছু গবেষণা করেছি এবং এটি ব্যবহারে দশটি পদ্ধতি নিয়ে কথা বলব যা আপনার চুলের যত্নে সাহায্য করবে।
প্রেজ সূচিপত্রঃ চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার
- চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার
- কারি পাতা ব্যবহার করে কিভাবে চুল লম্বা করা যায়
- চুলে যত্নে কারের পাতার হেয়ার প্যাক
- চুলে যত্নে কারি পাতার তেলের ব্যবহার
- কারি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- কারি পাতা খাওয়ার নিয়ম
- চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে কারি পাতার ব্যবহার
- চুলের খুশকি দূর করার জন্য কারি পাতার ব্যবহার
- চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার সম্পর্কে FAQ প্রশ্ন?
- উপসংহার
চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার
চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকরী পাতা।আমার চুল যখন পড়ে যাচ্ছিল তখন চুলে কারি পাতা ব্যবহার করে আমার চুলের গোরা মজবুত ও লম্বা ও ঘন হয়। আপনার যদি আপনাদের চুলে আমার মত লম্বা ও ঘন কালো ও স্বাস্থ্যকর চুল চান তাহলে এই নিচের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
চুলের গোড়া কারি পাতার ব্যবহারঃ আমার চুল আগে খুব ভেঙ্গে যেত। একটুকু একটুখানি টান লাগলে চুল ছিঁড়ে যেত তখন আমি কারি পাতা দিয়ে তেল তৈরি করে ব্যবহার শুরু করলাম।
কিভাবে তৈরি করব
- কিছু কারি পাতার ধুয়ে শুকিয়ে নিন
- নারিকেল তেল কারি পাতা হালকা আচে সিদ্ধ করুন
- ঠান্ডা হলে এটি ছাকনি দিয়ে ছেকে বোতলের সংগ্রহ করুন
এই তেলটি আমি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতাম। ব্যবহার করার সময় মাসাজ করলে চুলের গোড়ার শক্ত হয় এবং চুল পড়া কমে যায়।
আরো পড়ুনঃ শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতেঃ আপনি জানেন কি কারি পাতা থাকায় অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন বি চুলের বৃদ্ধি করতে কতটা কার্যকর। আমি যখন নিয়মিত কারি পাতা ব্যবহার শুরু করলাম। তখন আমার চুলের লম্বা ও ঘন হচ্ছে এবং দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পদ্ধতি
- কারি পাতা পেস্ট তৈরি করুন
- এই পেস্ট আপনি আপনার চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন
- এটি আপনার চুলের বৃদ্ধিতে প্রাকৃতিকভাবে ত্বরান্বিত করবে।
চুলের শুষ্কতা দূর করেঃ আপনার চুল কি শুষ্ক আর রুক্ষ তাহলে কারি পাতা ব্যবহার করুন। কারি পাতার নির্যাস এবং নারিকেল তেল মিশিয়ে আপনি মাক্স ব্যবহার করতে পারেন।
পদ্ধতি
- কারি পাতার রস বের করে তেলের সঙ্গে মেশান
- এটি স্কাল্পে ম্যাসাজ করুন ১ ঘন্টা রেখে দিন
- এটি আপনার চুলকে নরম মুসলিম উজ্জ্বলতা করবে।
চুলের প্রাকৃতিক জৌলশ আনতেঃকারি পাতার ব্যবহার করে আমার চুলকে একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দিয়েছে। এটি ব্যবহারের পর আমি আর আলাদা করে কোন কন্ডিশনাল লাগাইতাম না। চাইলে এটি আপনি আপনার চুলে লাগাতে বিশ্বাস করতে পারবেন যে, কারি পাতা কতটা কার্যকরী।
কিভাবে করবেনঃ
- কারি পাতা সিদ্ধ পানিতে চুল ধোয়ার জন্য ব্যবহার করুন
- এটি আপনার চুলে জৌলস বাড়বে।
চুল পড়া কমাবেঃ আমার মত অনেকেরই চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন। তাহলে আর চিন্তা না করে আপনি কারি পাতা ব্যবহার করতে পারেন। কারণ কারি পাতাতে রয়েছে ভিটামিন বি, সি, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার উৎস চুল পড়া রোধে সাহায্য করবে।
পদ্ধতিঃ
- কারি পাতা ব্লেন করে পেস্ট তৈরি করুন
- এটি স্ক্যাল্পে লাগিয়ে রাখুন
- এরপর দেখবেন চুল পড়া কতটা কমে গেছে।
স্ক্যাল্পে স্বাস্থ্য উন্নত করতে ঃস্ক্যাল্পে সমস্যায় থাকলে চুল বৃদ্ধি ঠিকমতো হয় না। এইজন্য কারি পাতা ব্যবহার করার ফলে আমার স্ক্যাল্পে স্বাস্থ্যবান হয়েছে এবং চুল পড়া বন্ধ হয়ে চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছে।
পদ্ধতিঃ
- কারি পাতার সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। অতঃপর এটি ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
- এটি আপনার স্ক্যাল্পে পরিষ্কার করবে এবং চুলের গোড়া মজবুত করবে
পদ্ধতিঃ
- কারি পাতার পেস্ট মানে নিয়মিত চুলা লাগান
- সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই প্যাকটি ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
চুলে যত্নে কারি পাতার ব্যবহার করা আমি নিয়মিত শুরু করলাম। তখন আমার চুলে ধীরে ধীরে উন্নত হতে লাগলো। আগে চুল রুক্ষ ছিলো এখন ঘন ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কারি পাতা ব্যবহার করে কিভাবে চুল লম্বা করা যায়
কারি পাতা ব্যবহার করে কিভাবে চুল লম্বা করা যায়, সে সম্পর্কে আপনার সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে, কারি পাতা চুল লম্বা করতে ও ঘন মসৃণ উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এতে থাকা প্রাকৃতিক পুষ্টি যেমন ভিটামিন বি,ভিটামিন সি, এবং অ্যান্টঅক্সিডেন্ট চুলের গোড়া মজবুত এবং বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আমি নিয়মিত কারি পাতা দিয়ে তৈরি তেল চুলে ব্যবহার করি। এটি তৈরি করতে কারি পাতা নিতে হবে এবং নারিকেল তেলের সাথে হালকা আছে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর এটি ছেকে আপনি আপনার চুলে নিয়মিত মাসাজ করুন। সপ্তাহে দুইবার এটি ব্যবহার করুন, তখন দেখবেন লম্বাই হবে না চুল গোরা মজবুত ও ঘন করতে সাহায্য করবে।
আরেকটি দারুন পদ্ধতি হলো কারি পাতার পেস্ট বানিয়ে মাক্স হিসেবে ব্যবহার করা। আপনি কারে পাতার সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে এই মাস তৈরি করুন। এটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের শুষ্কতা কমে এবং চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং লম্বা ও ঘনত্ব করতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায় দ্রুত চুল লম্বা করতে চান তাহলে অবশ্যই কারি পাতা ব্যবহার করে দেখুন।
চুলে যত্নে কারের পাতার হেয়ার প্যাক
চুলের যত্নে কারী পাতার হেয়ার প্যাক অত্যন্ত কার্যকরী। এই হেয়ার প্যাক আমার অত্যন্ত প্রিয় উপায়। আমার চুল সব সময় একটু শুষ্ক আর রুক্ষ প্রানহীন ছিল। একদিন আমি কারিপাতার হেয়ার প্যাক ব্যবহার করার পর চলে যে পার্থক্য দেখলাম তা অবিশ্বাস্য। আমি কারি পাতার পেস্ট এর সঙ্গে টক দই মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করি। এটি চুলের গোড়ায় এবং পুরো চুলে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলি। তারপর অনেক নরম মসৃণ ও উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে এনেছে। আপনি আপনার চুলে এভাবে হেয়ার প্যাক লাগাতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার উপায়
আরেকটি প্রিয় হেয়ার প্যাক হলো কারি পাতার সঙ্গে মধু ও অ্যালোভেরার মিশ্রিত একটি প্যাক।কারি পাতা পেস্টে এক চা চামচ ও একটা অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে আপনি এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এটি ব্যবহার করার ফলে আপনাকে কোন কন্ডিশনার লাগাতে হবে না। এটি আপনার চুল শুষ্কতা কমায় না বরং চুলের স্বাস্থ্য উন্নতি করতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চুলের যত্ন নিতে চান হেয়ার প্যাকগুলো অবশ্যই ট্রাই করবেন।
চুলে যত্নে কারি পাতার তেলের ব্যবহার
চুলের যত্নে কারি পাতার তেল ব্যবহার করলে কতটা কার্যকরী তেল, এটি আপনি ব্যবহার না করলে বুঝতে পারবেন না। আমি চুলের যত্নে অনেক কিছুই চেষ্টা করেছি। কিন্তু কারি পাতার তেল ব্যবহার করার পর থেকে স্বাস্থ্য সত্যি বদলে গেছে। এই তেলটি ব্যবহার করা খুবই সহজ এবং ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। আমি কারি পাতার সাথে নারিকেল তেলে মিশিয়ে হালকা আছে এটি সিদ্ধ করে নিন। এরপর এটি আপনি আপনার চুলের গোড়ায় স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করে রেখে দিতে পারেন। এটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন। আপনি ব্যবহার কর ফলে বুঝতে পারবেন যে আপনার চুল কতটা মজবুদ ঘন ও লম্বা হতে সাহায্য করে।
আপনার যদি খুশকি সমস্যা থাকে তাহলে এই তেল সেটাও দূর করতে সাহায্য করবে। কারি পাতার পুষ্টিগুণ চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনতে এবং রুক্ষতা দূর করতে সাহায্য করে। চুল পড়া কমায় চুল ভেঙ্গে যাওয়ার রোড থেকে দূর করে। আপনি আপনার চুলের ব্যবহার করে দেখবেন কতটা স্বাস্থ্য ও উন্নত করতে সাহায্য করেছে। আমি সপ্তাহে দুইবার এটেল ব্যবহার করি এবং আমার চুল এখন অনেক বড় লম্বা ও উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। আপনার চুলে যদি এরকম সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি এই কারি পাতা তেল ব্যবহার করে অবশ্যই ট্রাই করে দেখতে পারেন।
কারি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
কারি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা থেকে জানাতে চাই যে, কারি পাতা কতটা কার্যকর। আমার মতো অনেকেই হয়তো চুলের যত্নে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রাকৃতিক উপায় খুঁজছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে কারি পাতা ব্যবহার করে চমৎকার ফল পেয়েছি। চুল পড়া খুশকি বা হজমের সমস্যা দূর করতে এটি সত্যিই অসাধারণ। চুলে যত্নে কারে পাতা দিয়ে তেল ব্যবহার করার পর আমার চুল অনেক মজবুত ঘন ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি হয়েছে। কেননা কারি পাতাতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, যা চুলের ভরা মজবুত করে এবং চুল পড়া কমায় ও দ্রুত লম্বা হতে সাহায্য করে। এছাড়াও খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। কেননা এতে ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য স্ক্যাল্প পরিষ্কার করে। কারি পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর,জাতকের বার্ধক্য রোধ করে এবং ত্বকে উজ্জ্বলতা রাখতে বজাই রাখে। এছাড়া কারি পাতা খেলে হজম শক্তি বেড়ে যায় এবং গ্যাসের সমস্যা অনেক কমে যায়। বিশেষ করে আমার ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে পাতার পেস্ট দারুন কাজ করেছে।
কারি পাতার অপকারিতা বা সর্তকতা
যদিও আমি কারি পাতার অনেক উপকারিতা পেয়েছি তবে তার মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাকে। এজন্যই আমি যে সমস্যা ফেস করেছি সেটা আপনাদেরকে বলে দিচ্ছি।প্রথম দিকে আমি কারি পাতা তেল বেশি ব্যবহার করেছিলাম যা আমার স্ক্যাল্পে অতিরিক্ত তৈলাক্ত করে দেয়। এতে চুল ধুয়ে ফেলার পর চিপ চিপে লাগতো। তাছাড়া একবার কারি পাতার ম্যাস্ক ব্যবহার করার পর ত্বকে কিছুটা চুলকানি হয়েছিল, সম্ভবত আমার ত্বকের অতিসংবেনশীলতার কারণে হয়েছিল। আর হজমের জন্য এটি খেলে পেটে গ্যাস তৈরি হতে পারে যা আমিও একবার অনুভব করেছি।
আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলবো কারি পাতা ব্যবহারের সময় পরিমিত বজায় রাখা ভালো। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এটি সত্যি দারুন উপকারী। তবে বেশি ব্যবহার না করাই উত্তম।
কারি পাতা খাওয়ার নিয়ম
কারে পাতার খাওয়ার সম্পর্কে আপনাদের সাথে কিছু শেয়ার করব। মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন তাহলে এটি আপনার কাজে লাগতে পারে। আমি প্রথমে কারি পাতার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানার পর খাওয়া শুরু করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৫-৭ টা,তাজা কারি পাতা চিবিয়ে খায়। এতে আমার অনেক হজমের সমস্যা হয়ে গেছি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য পেয়েছি। আপনাদের যাদের রয়েছে নিয়ে চিন্তিত কারি পাতা খেতে পারেন। চিবিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি মাঝে মাঝে আমি এটি গরম পানিতে ফুটিয়ে কারি পাতা চা বানিয়ে খাই। এই পদ্ধতিতে শরীর ডিটক্স হয় এবং আমার ত্বকের আরও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি যদি মনে করেন আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেতে চান তাহলে আমি সাজেস্ট করব আপনি কারে পাতার যেভাবে হোক নিয়মিত খাওয়া শুরু করুন।
আরো পড়ুনঃ কমলা লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা
আরেকটি নিয়ম হলো রান্নায় কারি পাতার ব্যবহার করা। যেমন আমি যখন খাবারে কারি পাতায় যোগ করি তখন এটি শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না, বরং শরীরের দারুন উপকার দেয়। যেমন বিশেষ করে, কারি পাতার ডালে বা তরকারিতে দিলে এটি হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।নিয়মিত এই উপায় খাবার খাওয়ার ফলে আপনার চুলের স্বাস্থ্য উন্নত হবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলব কারি পাতা সত্যি শরীর ও ত্বকের জন্য কার্যকরী উপাদান।
চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে কারি পাতার ব্যবহার
চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে কারি পাতার ব্যবহার অনেক কার্যকরী একটি পাতা। আমার চুল আগে অনেক রুক্ষ এবং প্রাণহীন ছিল যা বলার মতো না। কিন্তু আমি যখন থেকে কারি পাতার উপকার সম্পর্কে জানতে পারলাম ব্যবহার করা শুরু করলাম তখন দেখি আমার চুলে একটি প্রাণ ফিরে পেল। কারি পাতার তেল তৈরি করে আমার চুলে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করে রেখে দি সারারাত সকালে ধুয়ে ফেলি এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেখি আমার চুল পড়া কমে গেছে খুশকি দূর হয়েছে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেয়ে ঘন ও মজবুত হয়েছে।
আরেকটি উপায় হল কারি পাতা দিয়ে হেয়ারমাক্স তৈরি করা। আমি কারি পাতার পেস্ট এর সঙ্গে দই মিশে মাক্স বানাই। এটি চুলের গোড়ায় লাগে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলি আমার চুল এখন মসৃণ ও চকচকে ঘন কালো চুল হয়। যেন প্রতিদিন সেলুন থেকে বের হয়েছি মনে হয় নিজেকে। আপনি যদি আপনার চুলের উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি এ কারি পাতার ব্যবহার করুন।
চুলের খুশকি দূর করার জন্য কারি পাতার ব্যবহার
চুলের খুশকি দূর করার জন্য কারি পাতা ব্যবহার করা আপনার জন্য দারুণ কার্যকরী বিশেষ উপাদান। কেননা আমি যখন খুশির সমস্যায় ভুগছিলাম তখন কোন কিছুই ফলাফল পাই নাই। প্রোডাক্ট অনেক বাজার থেকে নিয়ে খুশকি দূর করতে চেয়েছিলাম কিন্তু হয়নি। কিন্তু যেদিন থেকে কারি পাতা ব্যবহার করেছি সে দিন থেকে তোমার চুলে খুশকি দূর করে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি কারি পাতার পেস্ট এর সঙ্গে দই মিশিয়ে একটি মাছ তৈরি করি তারপর আমি এটি মাথায় ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলি। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করার ফলে একদিন পরেই দেখছি আমার চুলের খুশকি দূর হয়ে গেছে।
এছাড়াও আরেকটি পদ্ধতি আমি ব্যবহার করেছিলাম নারিকেল তেলে কারি পাতা সিদ্ধ করে সেই তেল স্ক্যাল্পে মাসাজ করি।এবং এটি ব্যবহার করার ফলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেখি আমর চুলের খুশকি দূর করে গোরা মজবুত করে এবং ঘন ও কালো হয়। নিয়মিত এই দুটি পদ্ধতি অনুসরণ করলে, আপনার যদি চুলের কোন সমস্যা থাকে বা খুশির দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই এ কারি পাতার ব্যবহার করুন।
চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার সম্পর্কে FAQ প্রশ্ন?
প্রশ্নঃ কারি পাতা চুলের যত্নে কীভাবে উপকারী?
উওরঃ কারি পাতা চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায়, চুল পড়া কমায়,খুশকি দূর করে, চুল দ্রুত লম্বা করতে সাহায্য করে।এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
প্রশ্নঃ কারি পাতা তেল কিভাবে বানাবো?
উওরঃ নারিকেল তেলে কারি পাতা দিয়ে হালকা আচে ফুটিয়ে নিন, তার ঠান্ডা করে ছেকে, তেল বের করে ব্যবহার করুন। স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন, সারারাত রেখে দিয়ে দিন, পরের দিন ধুয়ে ফেলুন, ভালো ফলাফল পাবেন।
আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
প্রশ্নঃ কারি পাতা কি প্রতিদিন ব্যবহার করা যায়?
উওরঃ নারিকেল তেল বা কারি পাতার পেষ্ট হিসেবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করা আদর্শ। তবে কারি পাতা খাওয়ার ক্ষেত্রে এটি প্রতিদিন খাওয়া যেতে পারে।
প্রশ্নঃ চুল বন্ধ করতে কারি পাতা কিভাবে ব্যবহার করব?
উত্তরঃ কারি পাতা তেল হিসেবে ব্যবহার করুন বা চুলের গোড়ায় লাগানোর জন্য মাক্স তৈরি করুন এটি চোলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া কমায়।
উপসংহারঃ চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার
চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার সম্পর্কে আপনাদেরকে আমার অভিজ্ঞতা থেকে জানালাম যে, কারি পাতা কতটা অসাধারণ চুলের যত্নে প্রাকৃতিক সমাধান। আপনারা কখনো জানতেন কি? কারি পাতা কতটা কার্যকর একটি উপাদান। এটি আমি ব্যবহার করার ফল কতটা উপকার পেয়েছি তা আপনাদেরকে জানিয়েছি। এটি ব্যবহার করার ফলে চুল পড়া, খুশকি দূর করা,এবং শুষ্কতার মত সমস্যা গুলো জন্য কারি পাতার মাক্স, তেল পেষ্ট করে ব্যবহার, এবং চা নিয়মিত ব্যবহার করেছি। এতে শুধু আমার চুলের সমস্যা কমেনি বরং চুল এক ধরনের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এসেছে। আপনি যদি চুলের যত্নে কিছু প্রাকৃতিক ও কার্যকারী উপায় খুঁজে থাকেন। তবে কারি পাতা অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত।
যাই হোক চুলের যত্নে পাতা ব্যবহারের সময় নিয়মিত ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি এটি সঠিক নিয়ম ব্যবহার করেছি বলে ভালো ফলাফল পেয়েছি। আপনিও যদি চেষ্টা করেন, তাহলে দেখবেন আমার মতোই এই রকম পরিবর্তন দেখতে পাবেন। শেষ কথা হল প্রাকৃতিক দান পাতা আমাদের চুলের জন্য সত্যি একটি অমূল্য উপহার।
অনেক সুন্দর লাগছে কথা, আরো পোস্ট দেন